বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সংগ্রামে সবসময় পাশে থেকে প্রেরণা যুগিয়েছেন বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিব। আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের সাহস দিয়েছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রামে তার ছিল অনন্য ভূমিকা। আজ শনিবার বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে বঙ্গমাতা সারাজীবন নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এই ত্যাগ কখনো বৃথা যেতে দেওয়া হবে না।’
প্রধানমন্ত্রী জানান, বিলাসী জীবন নয়, বরং অসহায় মানুষের পাশে থাকার শিক্ষা তার মায়ের কাছ থেকেই পেয়েছেন তিনি।
মায়ের স্মৃতিচারণ করে কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৫৮ সালে মার্শল ল’ জারি হওয়ার পর আব্বা আলফা ইন্সুরেন্সে চাকরি করতেন। এই দু’বছর আমার মা সংসারের স্বাদ পেয়েছিলেন। কারণ তখন রাজনীতি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিলো। প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী হওয়া স্বত্ত্বেও আমার মায়ের কোনো অহমিকা ছিল না। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে দলকে সুসংগঠিত করতে সবসময় পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।’
এর আগে, বঙ্গমাতার জন্মদিন উপলক্ষে গোপালগঞ্জের ১০০ জন অস্বচ্ছল মহিলার মাঝে সেলাই মেশিন ও ১০০ মেধাবী শিক্ষার্থীর হাতে ল্যাপটপ উপহার দেওয়া হয়।
১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন শেখ ফজিলাতুন্নেছা, যিনি পরিবারে পরিচিত ছিলেন রেণু নামে। মাত্র ১৩ বছর বয়সে শেখ মুজিবের সঙ্গে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন তিনি। শুধু সহধর্মিনী হিসেবে নয়, রাজনৈতিক সহকর্মী হিসেবে আজীবন প্রিয়তম স্বামী শেখ মুজিবের ছায়াসঙ্গী ছিলেন শেখ ফজিলাতুন্নেছা। ১৯৭৫ এর ১৫ই আগস্ট কালরাতে বঙ্গবন্ধুর সপরিবার হত্যাযজ্ঞে তিনিও শহীদ হন।
Leave a Reply